টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ছাত্র ও তবলীগের সাথীদের উপর সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী হামলার বিচার এবং নিষিদ্ধ ও সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় গভঃ গার্লস স্কুলের সামনে থেকে ওলামায়ে কেরাম, তবলীগের সাথী ও সর্বস্তরের মুসলমানদের ব্যানারে মিছিলটি বের করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন, জমিয়তে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেদাউসুর রহমান।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, আজকে ভরাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। যার ভাষা রাজপথে প্রকাশ করতে পারছিনা। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার মক্কী জীবনে মানুষকে দাওয়াত দিয়েছেন, তখন জিহাদের আয়াত নাজিল হয় নি। ঐ সময় তিনি সবরের আমল করেছেন, মানুষকে দাওয়াত করেছেন। কিন্তু কাফির মুশরিকরা তার কথা মানতে পারেনব তখন তখন তিনি মদিনায় হিযরত করেন। তখন আল্লাহ পাক জিহাদের আয়াত নাজিল করেন। আমার মুরুব্বিদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলতে চাই, এত নরম, বেশী নরম ভালো না। আজকে ২০২৪ সালে আপনাদের সবরের কারনে আমার ৪টি ভাই শহীদ হয়েছে, অসংখ্য ভাই রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, টঙ্গীর ময়দান রক্ত লাল হয়েছে। যদি আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় তাহলে আমেরিকার একটা দোসরকেও বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, যদি টাওয়ার মনির ও তথাকথিত ব্যবসায়ী শাহীনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে জনগণ গণধোলাই দিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তোমাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিনি। তোমরা টাকা দিয়ে খুনী লালন-পালন করো। আলেমদের হত্যা করার জন্য তোমরা টাকা দিচ্ছো, তোমাদেরকে বিন্দু পরিমান ছাড় দিবোনা। আজকে আছরের নামাজের পর থেকে আমলাপাড়া মার্কাজ মসজিদ আহলে হকদের দখলে থাকবে, এখানে কোন খুনীর ঠাঁই হবে না। কোন রক্তচোষা আওয়ামী লীগের দোসরদের ঠাঁই হবে না। কোন খুনিকে দেখলে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবো।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের টেবিল এখন বাজারের টেবিল হয়ে গেছে, আলোচনা হয় কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত হয় না। আড়াইহাজারে আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলা খেলেছেন। আর কোন খেলা খেলতে দিবোনা। তাই আপনাদের বলবো বিন্দু পরিমান গড়িমসি করেন তাহলে আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো। ঐক্যবদ্ধভাবে ঐ সকল সাদিয়ানী, আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রতিহত করতে হবে।
মিছিলটি গভঃ গার্লস স্কুল থেকে বের হয়ে চাষাড়া গোল চত্বর ঘুরে আমলাপাড়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ করে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা বাহাদুর ইসলাম আব্বাস, মাওলানা মিজবাউর রহমান মিজবাহ, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।