শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা এ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লা কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বী, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন এবং ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।

বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই হত্যাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ছবি সংগ্রহ : (সিএ প্রেস উইং)

ট্যাগ:

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

প্রকাশঃ 04:45:59 am, Saturday, 14 December 2024

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা এ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লা কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বী, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন এবং ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।

বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাই হত্যাকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ছবি সংগ্রহ : (সিএ প্রেস উইং)