নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহম্মেদ পলাশের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হাত-মুখ বেধে ১৫ শত ডলার, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১২০ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় ডাকাতরা এক রাউন্ড গুলিও করে।
তবে এ সময় বাসায় ছিলেন না শ্রমিল লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ মসজিদ গলিতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস. এম জহিরুল ইসলাম ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন।
কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যরা জনান, বাড়ির দ্বিতীয় তলার উত্তর দিকের গ্রীল কেটে মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ছয় ডাকাত ভিতরে প্রবেশ করে পলাশের প্রথম স্ত্রী, মা, বোনসহ পরিবারের অপর সদস্যদের মারধর করে হাত-মুখ বেধে একটি কক্ষে আটকে রেখে।
পরে ডাকাতরা প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান করে প্রতিটি রুমে তল্লাশি করে আলমারি, ওয়ারড্রপ ভেঙে বাসায় থাকা ১৫ শত ডলার, ১২০ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার সহ নগদ পাচঁ লাখ টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ডাকাতরা এক রাউন্ড গুলিও করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস. এম জহিরুল ইসলাম জানান, ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় গুলি করার বিষয়ে এখনো সুনির্দিস্ট কোন প্রমাণ মিলেনি। ডাকাতির ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০০১ সালে আওয়ামী সরাকারের পতনের পর চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় আাসার পরপরই পলাশোর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিলো তখনও পলাশ পলাতক ছিলো। এবারও পলাতক থাকাবস্থায় পলাশের বাড়িতে ডাকাতি ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।