স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের উন্নতমানের একটি শিল্প নগরী হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছে নারায়ণগঞ্জ শহরটি।
সেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় যুবদলের আহবায়ক সাদিকুর রহমান সাদেকের নির্দেশে নামধারী শ্রমিকলীগ নেতা ওয়াসিমের ফের চাঁদাবাজি তুঙ্গে। আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান!
চাষাড়া টু সাইনবোর্ড রোডের শিবু মার্কেটে এলাকার আতংকের এক নাম হলো শ্রমিক লীগে নেতা চাঁদাবাজ ও মাদক সন্ত্রাসী ওয়াসিম গং।
ফতুল্লা থানার শ্রমিক লীগ নেতা ও চাঁদাবাজ, একাধিকবার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া আজিজুলের হাত ধরে শ্রমিক লীগে যোগ দান করেন ওয়াসিম। শ্রমিক লীগের নেতা চাঁদাবাজ ওয়াসিম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।
শ্রমিক লীগের নেতা কাওসার আহান্মেদ পলাশের সাথে রাজনীতির সব সময় এ্যাকটিভ থাকতেন এই ওয়াসিম। তারপর থেকে চাঁদাবাজি মাদক বাণিজ্যের সয়লাব গড়ে তুলে ।
এই চাঁদাবাজ ওয়াসিম শিবু মার্কেটের ফুটপাতের দোকান থেকে তৎকালীন ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ নেতার নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকেন বলে জানায় ফুটপাতের দোকানীরা। শিবু মার্কেট ও লামাপাড়ায় সন্ত্রাসী ও মাদক চাঁদাবাজির সম্রাজ্য গড়ে তুলে ওয়াসিম গং ও সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরালেও এখন বিপুল পরিমাণের সম্পদের মালিক বনে যায় ওয়াসিম।
তথ্য মতে আরও জানা যায়, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে তিন চাকার অটো রিকশা মিশুক ও বড় অটো থেকে ইস্টিকার ও চাবির রিং বানিয়ে ট্রাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা টিআই করিমের সঙ্গে যোগসাজশে চাঁদাবাজি বাণিজ্য করতেন ওয়াসিম।তখন শিবু মার্কেট ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভিতরে বসে চাঁদার টাকা নিয়মিত ভাগাভাগি করতেন ওয়াসিম। কিছু আসাদু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সাথে বন্ধুত্ব করে চাঁদাবাজির কৌশল আরো বাড়িয়ে তুলেন ওয়াসিম। সব সময় সে শ্রমিক লীগ নেতা হলেও নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিতেন সাধারণ মানুষের কাছে।
ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ কে ভয় ভিত্তি দেখিয়ে সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করতেন। বিভিন্ন সময় নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় পত্র পত্রিকাগুলোতে দেখা যেত চাঁদাবাজ ওয়াসিমে বিভিন্ন অপকর্ম ও প্রতারণা ও মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজির শিরোনামে থাকতেন ওয়াসিম।বর্তমানে সে আওয়ামী লীগের পতন হলে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহাবায়াক সাদিকুর রহমান সাদেকের নির্দেশে শুক্রবার ( ৯ আগস্ট), শিবু মার্কেটে বিশাল বড় এক মহড়া দিয়ে চাঁদাবাজ ওয়াসিমকে বিএমপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে যান সাদিকুর রহমান সাদেক। রাজপথে থাকা নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির নেতা কর্মীদের মারধর ও জুলুম করেন এবং সে সময় তাদেরকে বিভিন্ন ভুয়া মামলায় দিয়ে ধরিয়ে দিতেন শ্রমিক লীগর এই নেতা ওয়াসিম।
বিএনপি নেতাকর্মীরা তার ভয়ে বাড়িঘরে থাকতে পারতেন না বলে জানায় নির্যাতিত বিএনপির নেতা কর্মীরা । পুলিশের সোর্স হিসাবেও কাজ করতেন এই ওয়াসিম।এ বিষয়ে জানায় বিএনপির নেতা কর্মীরা । আওয়ামী লীগ পতন হলে শ্রমিক লীগ নেতা চাঁদাবাজ ওয়াসিম শিবু মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে আবারো চাঁদাবাজি শুরু করেছে বলে জানায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা কর্মীরা জানায় এই নামে কেউ আমাদের সাথে রাজনীতিতে ছিলেন না। নারায়ণগঞ্জ জেল বিএনপির সভাপতি মোঃগিয়াসউদ্দিন বলেন বিএনপির নাম পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজী করলে তাদেরকে ফতুল্লা থানায় বা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আইনের হাতে তুলে দিন অথবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আরো জানান বিএনপি কোন চাঁদাবাদ ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয় না চাঁদাবাজিও করে না বিএনপি হল শান্তি-শৃঙ্খলার দল জনগণের দল।