পুর্ব শত্রতার জেরে এবং বাড়ি নির্মানে ৫ লাখ টাকা চাদাঁদাবীর অভিযোগে নগরীর নলুয়া এলাকার মৃত.জুলাস সরদারের ছেলে মো.শাহজালালসহ তার সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে মহামান্য বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালত নারায়ণগঞ্জ এ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী একই এলাকার রনি চৌধুরীর স্ত্রী মোসা.রিমা আক্তার। যার ধারা ১৪৩/৪২৭/৩২৩/৩৮০/৩৫৪/৩০৭/৩৮৫/৫০৬ দ:বি: তাং ১৯/১০/২০২৪ইং। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন,মৃত.সুলতানের ছেলে মো.মাসুদ ওরফে জামাই,লাল মেম্বারের ছেলে মো.আরিফ,মঞ্জু মিয়ার ছেলে মো.রনি এবং মো.অলক মিয়াসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন।
মামলা বাদীনি উল্লেখ করেন যে,ঘটনার দিন ১নং বিবাদীর নির্দেশে অন্যান্য বিবাদীরা বাদীনির ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে পুর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি নির্মানের কথা শুনে তারা ৫ লাখ টাকা চাদাঁবাদী করে। দাবীকৃত চাদাঁ না দিলে তাকে বাড়ি নির্মান করতে দিবেনা। এ সময় বাদীনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে তখন ১নং বিবাদী বাদীনির কাপড় চোপড় বুলিয়া শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং ১-৫নং সকল বিবাদীরা লোহার পাইপ দিয়া বাদীনির, ঘরের মুল্যবান জিনিস খাট, সুকেস, আলমারী ভাংচুর করিয়াছে এবং মালামাল লুট করিয়া নিয়ে যায় এবং ২নং বিবাদী বাদীনির গলা হইতে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন অনুমান মূল্য ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ছিনাইয়া নেয় এবং ৩ নং বিবাদী বাদীনির ঘরের ভিতরে আলমারী হইতে ৫০ হাজার) টাকা ছিনাইয়া নিয়া যায়।
এতে ৫ নং স্বাক্ষী বাধা দিলে ১নং বিবাদী বাদীনির স্বামীকে কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে গলা ঢিপিয়া ধরে এবং মুখ দিয়া লালা বাহির হইয়া যায়।
৪নং বিবাদী বাদিনীর চুলের মুঠি ধরে টেনে হেচরাতে থাকে এবং ১ থেকে ৫ নং বিবাদীরা ভিকটিম এবং ৫ নং স্বাক্ষীকে এলোপাতারি কিল,ঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে। এতে বাদিনী ও তার সন্তানদের শরীরে বিভিন্ন লীলাফুলা জখম হয়। এ সময় বাদিনী ও তার সন্তানদের ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা এ বলে হুমকী দেন যে যদি ৫লাখ টাকা চাদাঁ না দেয়া হয় তাহলে তোদেরকে জীবনের তরে মেরে ফেলা হবে হুমকী প্রদান করে চলে যায়।
মোকদ্দমায় উল্লেখ করা হয় যে, বাদীনিকে অন্যান্য স্বাক্ষীদের সহায়তায় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সকল বিবাদীরা মোকদ্দমার ঘটনায় দিন, তারিখ ও সময়ে বাদীনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে এবং স্বর্ণের জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে শ্ললতাহানী করে ও টাকা চুরি করে এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং জীবন নাশের হুমকি দিয়া উপরোক্ত ধারা সমূহের অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় বাদীনি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এবং থানায় মামলা করিতে না পেরে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।