আর মাত্র অল্প কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে ঢাকা রেঞ্জ অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (৩রা অক্টোবর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি। এর পর আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রী বলদেব বিগ্ৰহ মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখেন।
এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ।
পরিদর্শনকালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি স্যারের নির্দেশক্রমে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আজকে আমরা বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করছি। ঢাকা রেঞ্জের অধীনে ১৩টি জেলার পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য যাতে আনন্দের সাথে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে পুজোর যখন করতে পারে সে বিষয়টা নিশ্চিত করে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।
পূজাকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এমন কোন কিছুই প্রত্যাশা করি না। বাংলাদেশ আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শতবর্ষের ইতিহাস আছে। অন্তত সুন্দরভাবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষগণ তাদের ধর্ম পরিচালনা করে আসছে। আর পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। আমরা আমাদের দায়িত্বে অটুর থাকব।
তিনি আরও বলেন, পুজোতে ঝুঁকিপূর্ণ বলতে কিছুই নেই। নির্বাচনে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকে কিন্তু পুজোর সময়েও কিছু কিছু মন্ডব থাকে আমরা সেইভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমরা ইতিমধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজাকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করছি। প্রতিবারের ন্যায় এবারও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি প্রবীর সাহা, চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, লাঙ্গলবন্দ পূর্ন স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান জয় কে রায় চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।