বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু বলেছেন, আমাদের কমন গ্রাউন্ড আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমরা বাংলাদেশী। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। তারা তৎপর থাকবে সচেতন থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। মানুষ যখনই ভোট দিতে পেরেছে তারা বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। তাই আজ আমরাও সচেতন। কোন কুচক্রী মহল যেন হিন্দুদের পূজা নিয়ে কোন অপ রাজনীতি করতে না পারে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাদের মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও জীবন দিয়েছে সুতরাং তাদের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমরা একটি আদর্শিক সংগঠন। আমাদের দর্শন হল জিয়াউর রহমান, যিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ তুলে ধরেছেন সারা বিশ্বে। আমরা একটা জাতি।তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত দাঙ্গা হয়েছে সব ছিল রাজনৈতিক। এখানে অরাজনৈতিক দাঙ্গা কখনও হয়নি। তাই আমরা কোন কুচক্রী মহলকে সুযোগ দিতে চাই না। আপনারা স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করবেন। পূজা মন্ডপের আয়োজকদের আপনারা সহযোগীতা করবেন তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করবেন।
আমরা ভাই ভাই এটা মুখে বললেই হয় না। আমাদের একটা গ্রাউন্ড দরকার। এজন্যই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন আরও পঞ্চাশ বছর আগে। যেন আমরা একসাথে থাকতে পারি সবাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি একমাত্র দল যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে না। বিএনপি সকল জাতি গোষ্ঠীর মানুষকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটো, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমলাপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি শংকর সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পি,জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পালসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির ও মন্ডপ প্রতিনিধিবৃন্দ।