নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাটের ইজারা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় হাটের দরপত্র বেচাকেনা ও জমাদান নিয়ে প্রতিবছর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না বলে ধারনা অনেকের। অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাটের ইজারার দরপত্র বেচাকেনার অর্থ যায় সরকারি কোষাগারে।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, কিছু বিশেষ পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের সংগঠনের ছত্র ছায়ায় হাটের শিডিউলের দরপত্র বেচাকেনা ও জমাদান নিয়েই সুত্রপাত ঘটে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মূলক কাজ। যার কারনে সরকারের প্রকৃত রাজস্ব প্রতিবছর আদায় হয় না। বিশেষ করে প্রতিবছর নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের অস্থায়ী কয়লাঘাট পশুর হাটটিকে নিয়ে দরপত্র বেচাকেনা ও জামাদানে সদর উপজেলায় সংঘর্ঘের সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর ভিন্ন জমির মালিকের নামে কয়লাঘাট পশুর হাটটি ইজারা সম্পূর্ণ হলেও ঐ হাটটি নিয়ে মারামারি, অস্ত্রবাজি সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটে এবং পত্র পত্রিকায় টক অব দ্যা টাউন হয়ে উঠে।
এ নিয়ে স্থানী জনসাধারনরা থাকেন আতঙ্কে। এ বছরো তা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। কেন এ হাটটি নিয়ে এতো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়? কেন এ হাটটি বন্ধ করা হয় না? এনিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন।
সুত্র থেকে জানা যায়, অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাটের দরপত্র বিষয়ে জেলা প্রশাসন কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে এধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বন্ধ হবে। প্রতিবছর হাট গুলোর ইজারাদারা নদী পথে গরু আনা নেওয়ার কাজে বেপারীদের গরু জোরপূর্বকভাবে পশু বহনকারী যানবাহন থেকে তাদের নিজস্ব হাটে নামিয়ে রাখার চেষ্টা চালায়। যার ফলে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যদের ব্যকপেতে হয়।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় এলাকার সন্ত্রাসীরা হাটগুলোতে পেশিশক্তি ব্যবহার সহ অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্রেরও ব্যবহার করে থাকে। পশুর হাট গুলোতে সাধারন ক্রেতারা পশুক্রয় করতে অস্বস্তিবোধকরেন।
এ বিষয়ে জনতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জনান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইউনিয়ন ভিত্তিক যে সব অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। তার দরপত্র বেচাকেনার সময় যদি কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে তাহলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাট ঘাট বাজারের ধারা ও নীতিমালা আইন অনুযায়ী পশুর হাটের দরপত্র বেচাকেনা হবে।
প্রসঙ্গ: আগামী ১৭ জুন ত্যাগের মহিমায় মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হওয়ার কথা রয়েছে (চাদঁ দেখার উপর তারিখ নির্ভরশীল)।