ইজতেমা ময়দানের হত্যার বিচার না করে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ- মাওঃ আউয়াল

বিশেষ প্রতিনিধি : সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় ৪জন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নির্মম হত্যার সুষ্ঠু ও  নিরপেক্ষ বিচার এখনো বাংলার মানুষ দেখতে পায়নি। এটা সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদের খতিব হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল।

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী বাদ জুম্মা নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদ প্রাঙ্গণে খুনি সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও গ্রেফতারের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ উলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীবৃন্দের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল এ মন্তব্য করেন।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের উপদেষ্টারা এখনো বুঝতে পারে নাই। আমাদের দাওয়াতে তকবির সহ এদেশে উলামায়ে কেরামদের তারা একসাথে নিয়ে কাজ করবে। যদি দাবী আদায় না হয়, দাবী কিভাবে দাবী আদায় করতে হয় তা আমরা জানি। ইনশাআল্লাহ

তিনি আরও বলেন, এজন্য আগামী ইজতেমা আমরা অবশ্যই ঘোষণা দিচ্ছি প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে উপস্থিত হবো। ইজতেমা সাদপন্থীদের দ্বিতীয় পর্বে করতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, সাদপন্থীরা বাতিল, এরা ইসলামের বহিরাগত সন্ত্রাসী সম্প্রদায়ের সাথে যোগসাজসে কাজ করছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তওবা করার জন্য, কিন্তু তারা তা না  করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাদপন্থীদের  মুসলমানদের কোন মসজিদে জায়গা দেয়া হবে না। আজকে নূর মসজিদে যে প্রোগ্রাম দেয়া হয়েছে তা কোনভাবেই করতে দেয়া হবে না। করলে আমরা তার ব্যবস্থা নিবো। তারা হাজীগঞ্জে মারকাজের নামে জায়গা কিনতেছে, আমরা সেখানে প্রতিবাদ করে উঠে তাকে প্রতিহত করবো। সেখানে সাদপন্থীদের কোন মসজিদ- কোন আস্তানা হতে পারবে না। এজন্য আমি অনুরোধ করবো সকলকে আমরা একসাথে ঐক্যের প্লাটফর্মে থাকবো। আগামী ২৫ তারিখে আমরা অবশ্যই ঘোষণা দিবো, আল্টিমেটাম দেওয়া হবে। আমাদের টঙ্গী ময়দান এবং বিশেষ করে কাকরাইল থেকে ঘোষণা আসবে, আমরা ২৫ তারিখ কি পদক্ষেপ নিবো। প্রয়োজনে সারা ঢাকাকে আমরা অচল করে দিবো। যতক্ষণ না এই হত্যাকান্ডের বিচার আমরা পাবো। মসজিদের নামে সাদপন্থীরা হাজীগঞ্জে যে মার্কাজ বা মসজিদ নির্মাণ করতে যাবে, আগামী শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী বাদ জুম্মা আমরা তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। কোন অবস্থাতে তাদের নারায়নগঞ্জে কার্যক্রম করতে দেয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আবদুল কাদির, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মুফতী সাব্বির আহমেদ সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম।

ট্যাগ:
জনপ্রিয় পোস্ট

ইজতেমা ময়দানের হত্যার বিচার না করে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ- মাওঃ আউয়াল

প্রকাশঃ 03:34:18 pm, Friday, 10 January 2025

বিশেষ প্রতিনিধি : সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় ৪জন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নির্মম হত্যার সুষ্ঠু ও  নিরপেক্ষ বিচার এখনো বাংলার মানুষ দেখতে পায়নি। এটা সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদের খতিব হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল।

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী বাদ জুম্মা নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদ প্রাঙ্গণে খুনি সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও গ্রেফতারের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ উলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীবৃন্দের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল এ মন্তব্য করেন।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের উপদেষ্টারা এখনো বুঝতে পারে নাই। আমাদের দাওয়াতে তকবির সহ এদেশে উলামায়ে কেরামদের তারা একসাথে নিয়ে কাজ করবে। যদি দাবী আদায় না হয়, দাবী কিভাবে দাবী আদায় করতে হয় তা আমরা জানি। ইনশাআল্লাহ

তিনি আরও বলেন, এজন্য আগামী ইজতেমা আমরা অবশ্যই ঘোষণা দিচ্ছি প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে উপস্থিত হবো। ইজতেমা সাদপন্থীদের দ্বিতীয় পর্বে করতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, সাদপন্থীরা বাতিল, এরা ইসলামের বহিরাগত সন্ত্রাসী সম্প্রদায়ের সাথে যোগসাজসে কাজ করছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তওবা করার জন্য, কিন্তু তারা তা না  করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাদপন্থীদের  মুসলমানদের কোন মসজিদে জায়গা দেয়া হবে না। আজকে নূর মসজিদে যে প্রোগ্রাম দেয়া হয়েছে তা কোনভাবেই করতে দেয়া হবে না। করলে আমরা তার ব্যবস্থা নিবো। তারা হাজীগঞ্জে মারকাজের নামে জায়গা কিনতেছে, আমরা সেখানে প্রতিবাদ করে উঠে তাকে প্রতিহত করবো। সেখানে সাদপন্থীদের কোন মসজিদ- কোন আস্তানা হতে পারবে না। এজন্য আমি অনুরোধ করবো সকলকে আমরা একসাথে ঐক্যের প্লাটফর্মে থাকবো। আগামী ২৫ তারিখে আমরা অবশ্যই ঘোষণা দিবো, আল্টিমেটাম দেওয়া হবে। আমাদের টঙ্গী ময়দান এবং বিশেষ করে কাকরাইল থেকে ঘোষণা আসবে, আমরা ২৫ তারিখ কি পদক্ষেপ নিবো। প্রয়োজনে সারা ঢাকাকে আমরা অচল করে দিবো। যতক্ষণ না এই হত্যাকান্ডের বিচার আমরা পাবো। মসজিদের নামে সাদপন্থীরা হাজীগঞ্জে যে মার্কাজ বা মসজিদ নির্মাণ করতে যাবে, আগামী শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী বাদ জুম্মা আমরা তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। কোন অবস্থাতে তাদের নারায়নগঞ্জে কার্যক্রম করতে দেয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আবদুল কাদির, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মুফতী সাব্বির আহমেদ সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম।