বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক মামলার এজাহারনামীয় আসামী গোগনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও সৈয়দপুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এবং যুবলীগ নেতা মো. রুবেল আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের শেল্টারে বিগত দিনে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলতো রুবেল মেম্বার। কখনো অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে দাবড়ে বেড়িয়েছেন, কখনো হামলা করে লুটপাট করেছেন। এতে কেউ বাধা দিলে নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। অয়ন ওসমানের সাথে রুবেল মেম্বারের ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। এমপি পুত্রকে নানা উপঢৌকন উপহার দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন নিজের বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০২২ সালে দৌলত মেম্বারকে হত্যা করে এই রুবেল মেম্বার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা ছিল। রুবেল মেম্বারকে ইতোপূর্বে সকলে বিচ্ছু বাহিনীর প্রধান হিসেবে চিনতো। অনেকের জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ ছিল রুবেল মেম্বার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
গত ৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী ভূমিহীনদের কয়েকজন। লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিগত দিনে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রুবেল ও প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ভোল পাল্টে বিএনপির লোক বনে গিয়ে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের পুরান সৈয়দপুর আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ জন ভূমিহীনের ঘরে তালা দিয়েছে।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় আসামী হন রুবেল মেম্বার। তবে এতগুলো মামলার আসামী হওয়ার পরেও প্রকাশ্যেই এলাকায় বিচরণ করে আসছিল বিচ্ছু বাহিনীর প্রধান এই রুবেল মেম্বার।