ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় 

আর মাত্র দু-দিন পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পত্রিকা ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও যান চলাচল বেড়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে সড়কে কোনো যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে, যাত্রীদের অভিযোগ গাড়ি সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি আদায় করা হচ্ছে।

এদিকে নির্ধারিতর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কয়েকজন কাউন্টার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও টিকিটের লিস্ট চেক করার জন্যে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে বলে  ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন।

শুক্রবার সকালে মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নিজেদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে সকাল থেকে স্থানীয় মানুষেরা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছেন। অনেক যাত্রী আবার বাসের টিকিটের জন্যে একাধিক টিকিট কাউন্টারে ঘুরাঘুরি করেও সিট পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করছে কাউন্টার মালিকপক্ষ। কিছু কিছু স্থানে দ্বিগুণও ভাড়া গুনছেন মানুষ। বিকল্প হিসেবে অনেকে আবার অধিক ভাড়ায় বেছে নিচ্ছেন মাইক্রোবাসও।

লক্ষ্য করা গেছে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সড়কে অবস্থান করছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশেও একটি টিম। মহাসড়কের চিটাগাংরোড অংশে দায়িত্ব থাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সুন্দর রাখতে আমরা সকাল থেকেই তৎপর রয়েছি। মানুষ নির্ভয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে/পারবে। সড়কে আমাদের নজরদারি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছেন।

শিমরাইল মোড়স্থ টিকিট কাউন্টারগুলোতে ঘুরে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বললে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, তাদের গাড়ির সকল টিকিট পরশু ও পরশু বিক্রি হয়ে গেছেন। আজ অনেক যাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছেন। যাত্রীর প্রচুর চাপ বৃহস্পতিবার থেকেই। অধিক ভাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন বেশির ভাগ দায়িত্বপ্রাপ্তই।

সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস পরিবহনের স্টাফ মেহেদী হাসান বলেন, সরকারি সকল অফিস বন্ধ ঘোষণার পর থেকে যাত্রীর অনেক চাপ রয়েছে। আমরা যথেষ্ট সিট দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। ধারণা করছি আজ ইপিজেড পুরোপুরি বন্ধ হলে বিকালে আরও বাড়বে চাপ।

গাড়ির অপেক্ষা দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী বলেন, আজ সরকারি পাশাপাশি বেসরকারিও অনেক অফিস বন্ধ দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে আদমজী ইপিজেডসহ অন্যান্য সকল গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা হবে। তখন যাত্রীর চাপ আরও বেশি হবে ভেবে সকালেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। কিন্তু অসাধু কাউন্টার মালিকরা বেশি ভাড়া আদায় করছেন।

মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানতে চাইলে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন জানান, সড়কে যাত্রী ও গাড়ির যথেষ্ট চাপ রয়েছে। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্নে রাখতে আমাদের হাইওয়ে পুলিশের ৪৬ জন সদস্য শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড অংশ পর্যন্ত সর্বক্ষণ সড়কে অবস্থান করছে। কাউন্টারগুলোতে অধিক ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে কয়েকজন ডেকে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

ট্যাগ:

আনন্দ উৎসবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জের আত্মপ্রকাশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় 

প্রকাশঃ 08:26:24 am, Friday, 14 June 2024

আর মাত্র দু-দিন পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পত্রিকা ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও যান চলাচল বেড়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে সড়কে কোনো যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে, যাত্রীদের অভিযোগ গাড়ি সংকট দেখিয়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি আদায় করা হচ্ছে।

এদিকে নির্ধারিতর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কয়েকজন কাউন্টার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও টিকিটের লিস্ট চেক করার জন্যে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে বলে  ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন।

শুক্রবার সকালে মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নিজেদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে সকাল থেকে স্থানীয় মানুষেরা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছেন। অনেক যাত্রী আবার বাসের টিকিটের জন্যে একাধিক টিকিট কাউন্টারে ঘুরাঘুরি করেও সিট পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করছে কাউন্টার মালিকপক্ষ। কিছু কিছু স্থানে দ্বিগুণও ভাড়া গুনছেন মানুষ। বিকল্প হিসেবে অনেকে আবার অধিক ভাড়ায় বেছে নিচ্ছেন মাইক্রোবাসও।

লক্ষ্য করা গেছে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সড়কে অবস্থান করছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশেও একটি টিম। মহাসড়কের চিটাগাংরোড অংশে দায়িত্ব থাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সুন্দর রাখতে আমরা সকাল থেকেই তৎপর রয়েছি। মানুষ নির্ভয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে/পারবে। সড়কে আমাদের নজরদারি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছেন।

শিমরাইল মোড়স্থ টিকিট কাউন্টারগুলোতে ঘুরে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বললে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, তাদের গাড়ির সকল টিকিট পরশু ও পরশু বিক্রি হয়ে গেছেন। আজ অনেক যাত্রী এসে ফিরে যাচ্ছেন। যাত্রীর প্রচুর চাপ বৃহস্পতিবার থেকেই। অধিক ভাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন বেশির ভাগ দায়িত্বপ্রাপ্তই।

সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস পরিবহনের স্টাফ মেহেদী হাসান বলেন, সরকারি সকল অফিস বন্ধ ঘোষণার পর থেকে যাত্রীর অনেক চাপ রয়েছে। আমরা যথেষ্ট সিট দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। ধারণা করছি আজ ইপিজেড পুরোপুরি বন্ধ হলে বিকালে আরও বাড়বে চাপ।

গাড়ির অপেক্ষা দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী বলেন, আজ সরকারি পাশাপাশি বেসরকারিও অনেক অফিস বন্ধ দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে আদমজী ইপিজেডসহ অন্যান্য সকল গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা হবে। তখন যাত্রীর চাপ আরও বেশি হবে ভেবে সকালেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। কিন্তু অসাধু কাউন্টার মালিকরা বেশি ভাড়া আদায় করছেন।

মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানতে চাইলে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দীন জানান, সড়কে যাত্রী ও গাড়ির যথেষ্ট চাপ রয়েছে। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্নে রাখতে আমাদের হাইওয়ে পুলিশের ৪৬ জন সদস্য শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড অংশ পর্যন্ত সর্বক্ষণ সড়কে অবস্থান করছে। কাউন্টারগুলোতে অধিক ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে কয়েকজন ডেকে এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।