সাংবাদিক তোফাজ্জলের মাগফেরাত কামনায় সর্বস্তরের অংশগ্রহণ

দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) বাদ আছর নগরীর থানা পুকুরপাড় জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈননুদ্দিন আহমাদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ।

দোয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাওলানা মঈননুদ্দিন আহমাদ বলেন, তোফাজ্জল সাংবাদিক নয়, ছাত্র নেতা ও ছিল। তবে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত বেশি ছিল। সে খুব সাহসী মানুষ ছিল। মানুষ হিসেবে আমরা জানি না কখন আমাদের সমাপ্তি হবে। অনেক কিছু অজানা বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস হলেও ঈমান। তোফাজ্জল একজন ঈমানদার লোক ছিলেন। হকের কথা বলতে গিয়ে কে রাগ করলো সেই চিন্তা সে কখনো করে নি। কেউ মারা গেলে তার ভালো কাজগুলো নিয়ে আলোচনায় করাই হলো দোয়া। আল্লাহ যেন তার ভুল ত্রুটি মাফ করে দেন।

মরহুম সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সবুজ বলেন, বাবা ৪ দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতা করে আসছে। বাবা করো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। বাবা বলেছিলেন, আমি মারা যাওয়ার আমার জানাজার মানুষ উপস্থিতি জানান দিবে আমি কেমন মানুষ ছিলাম। আমার বাবা প্রমাণ করে গেছেন তিনি ভালো লোক ছিলেন।

এড. টিপু বলেন, ৩ যুগের বেশি ধরে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত তোফাজ্জল ভাই। সাংবাদিকতা করা সময় তো করো পক্ষে বা বিপক্ষে হওয়ার সুযোগ নাই। তোফাজ্জল ভাই সময় সময় ন্যায়ের পক্ষ থেকে কাজ করেছেন। তোফাজ্জল হোসেনর পক্ষ থেকে মহানগর বিএনপি ক্ষমা চাচ্ছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। সাংবাদিক তোফাজ্জলের ২ ছেলে আছে। আপনারা তাদের জন্যও দোয়া করবেন।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, তোফাজ্জল হোসেন আমাদের ভাই ছিল। সে অত্যন্ত অমায়িক মানুষ ছিলেন। সত্য কথা বলার কারণে তাকে অনেক কষ্টের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এত কষ্টের পরও সে এই মহান পেশা ছাড়েনি। তিনি সব সময় সমাজ, দেশ ও ধর্ম নিয়ে চিন্তা করতেন। আমরা দোয়া করবো আল্লাহ যেন তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে, তাকে বেহেশত নসিব করে। তার ছেলেরা যেন পিতার ঐতিহ্য ধরে রাখে।

ট্যাগ:
জনপ্রিয় পোস্ট

অসহায় শীতার্ত মানুষদের মাঝে আমরা না:গঞ্জবাসী’র কম্বল বিতরণ

সাংবাদিক তোফাজ্জলের মাগফেরাত কামনায় সর্বস্তরের অংশগ্রহণ

প্রকাশঃ 02:47:40 pm, Sunday, 5 January 2025

দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) বাদ আছর নগরীর থানা পুকুরপাড় জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈননুদ্দিন আহমাদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দ।

দোয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাওলানা মঈননুদ্দিন আহমাদ বলেন, তোফাজ্জল সাংবাদিক নয়, ছাত্র নেতা ও ছিল। তবে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত বেশি ছিল। সে খুব সাহসী মানুষ ছিল। মানুষ হিসেবে আমরা জানি না কখন আমাদের সমাপ্তি হবে। অনেক কিছু অজানা বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস হলেও ঈমান। তোফাজ্জল একজন ঈমানদার লোক ছিলেন। হকের কথা বলতে গিয়ে কে রাগ করলো সেই চিন্তা সে কখনো করে নি। কেউ মারা গেলে তার ভালো কাজগুলো নিয়ে আলোচনায় করাই হলো দোয়া। আল্লাহ যেন তার ভুল ত্রুটি মাফ করে দেন।

মরহুম সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সবুজ বলেন, বাবা ৪ দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতা করে আসছে। বাবা করো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। বাবা বলেছিলেন, আমি মারা যাওয়ার আমার জানাজার মানুষ উপস্থিতি জানান দিবে আমি কেমন মানুষ ছিলাম। আমার বাবা প্রমাণ করে গেছেন তিনি ভালো লোক ছিলেন।

এড. টিপু বলেন, ৩ যুগের বেশি ধরে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত তোফাজ্জল ভাই। সাংবাদিকতা করা সময় তো করো পক্ষে বা বিপক্ষে হওয়ার সুযোগ নাই। তোফাজ্জল ভাই সময় সময় ন্যায়ের পক্ষ থেকে কাজ করেছেন। তোফাজ্জল হোসেনর পক্ষ থেকে মহানগর বিএনপি ক্ষমা চাচ্ছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। সাংবাদিক তোফাজ্জলের ২ ছেলে আছে। আপনারা তাদের জন্যও দোয়া করবেন।

এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, তোফাজ্জল হোসেন আমাদের ভাই ছিল। সে অত্যন্ত অমায়িক মানুষ ছিলেন। সত্য কথা বলার কারণে তাকে অনেক কষ্টের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এত কষ্টের পরও সে এই মহান পেশা ছাড়েনি। তিনি সব সময় সমাজ, দেশ ও ধর্ম নিয়ে চিন্তা করতেন। আমরা দোয়া করবো আল্লাহ যেন তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে, তাকে বেহেশত নসিব করে। তার ছেলেরা যেন পিতার ঐতিহ্য ধরে রাখে।