হাজী উজির আলী স্কুলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায়নি শিক্ষকরা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান জাঁকযকম পূর্ণ হলেও দেখাযায়নি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের। এনিয়ে শিক্ষক সহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মনে ছিল ক্ষোভ ও কষ্ট।

২৭ সে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১০০ বছর পূর্তি। সেখানে ছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। এবং ২৮ ডিসেম্বর ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সেই বর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠান নিয়ে ছিল আগে থেকেই নানা জল্পনা কল্পনা।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় বিদ্যাপাঠ থেকে শিক্ষা নেওয়া ঐ শিক্ষকদের দেখতে এবং তাদের সাথে সময় কাটানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল কিন্তু ২৭শে ডিসেম্বরের প্রাক্তনদের অনুষ্ঠানে দেখা মিলিনি কোন শিক্ষকদের। এ নিয়ে দেখা দেয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মনে নানান প্রশ্ন ও ক্ষোভ। এ বিষয়ে জানতে দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকদের কাছে কেন সেই দিন বিদ্যালয় উপস্থিত হন নিয়ে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তারা জানান, এই দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১০০ বছরে পদার্পণ করল। এ ১০০ বছরে বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থীবের হয়েছে যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক বড় বড় কর্মকর্তা হয়েছেন। আমাদের সকল শিক্ষকদের মনে একটি আশা ছিল এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময়, আনন্দ উল্লাস ও আড্ডায় মেতে উঠবো আমরা। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বড় কোন পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা হলে সেটি আমাদের চোখে অনেক বড় এবং শিক্ষকতার জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা।

কিন্তু এই ২৭ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটিতে আমাদের শিক্ষকদের কোন দাওয়াত বা নিমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়নি। এতে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি এবং আমাদেরকে অপমানিত করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করেন কেন সেই দিন আমরা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়নি এর জবাব আমরা দিতে পারি নি। জানিনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবার কোন দিন সেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা আড্ডা হবে কিনা হয়তো বলতেও পারবোনা। আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তারা কে কোথায় আছেন কেমন আছেন তাও জানা হবে না। আমাদেরকে ২৮ ডিসেম্বরে বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে। কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের সকলের দেখা হয় প্রতিনিয়ত শ্রেনীকক্ষে। আমরা এ দিনও যেতামনা কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা তাই সে দিন আমরা উপস্থিত হলেও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে আসেনি।

এ বিষয় দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০১ সালের প্রাক্তন ছাত্র মো: শরীফ হোসেন জানান, আমরা আনন্দিত ছিলাম যে অনুষ্ঠানের দিন আমাদের গুরুজন শিক্ষকদের দেখা মিলবে তাদের সাথে আনন্দঘন মূহুর্ত আড্ডায় মেতে উঠবো। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন কোন শিক্ষকদের দেখা না মেলায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। এক পর্যায় জানতে পারলাম প্রাক্তদের অনুষ্ঠানে তাদেরকে দাওয়াতি করা হয় নি। দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির উচিত ছিল মানুষ গড়ার কারিগর তাদেরকে অবশ্যই সম্মানিত করে অনুষ্ঠানে রাখা।

ট্যাগ:

হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের মনোনয়ন পত্র জমা

হাজী উজির আলী স্কুলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায়নি শিক্ষকরা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশঃ 01:25:37 pm, Sunday, 29 December 2024

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান জাঁকযকম পূর্ণ হলেও দেখাযায়নি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের। এনিয়ে শিক্ষক সহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মনে ছিল ক্ষোভ ও কষ্ট।

২৭ সে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১০০ বছর পূর্তি। সেখানে ছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। এবং ২৮ ডিসেম্বর ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সেই বর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠান নিয়ে ছিল আগে থেকেই নানা জল্পনা কল্পনা।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় বিদ্যাপাঠ থেকে শিক্ষা নেওয়া ঐ শিক্ষকদের দেখতে এবং তাদের সাথে সময় কাটানোর জন্য অপেক্ষায় ছিল কিন্তু ২৭শে ডিসেম্বরের প্রাক্তনদের অনুষ্ঠানে দেখা মিলিনি কোন শিক্ষকদের। এ নিয়ে দেখা দেয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মনে নানান প্রশ্ন ও ক্ষোভ। এ বিষয়ে জানতে দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকদের কাছে কেন সেই দিন বিদ্যালয় উপস্থিত হন নিয়ে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তারা জানান, এই দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১০০ বছরে পদার্পণ করল। এ ১০০ বছরে বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থীবের হয়েছে যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক বড় বড় কর্মকর্তা হয়েছেন। আমাদের সকল শিক্ষকদের মনে একটি আশা ছিল এই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময়, আনন্দ উল্লাস ও আড্ডায় মেতে উঠবো আমরা। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বড় কোন পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা হলে সেটি আমাদের চোখে অনেক বড় এবং শিক্ষকতার জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা।

কিন্তু এই ২৭ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠানটিতে আমাদের শিক্ষকদের কোন দাওয়াত বা নিমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়নি। এতে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি এবং আমাদেরকে অপমানিত করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করেন কেন সেই দিন আমরা অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়নি এর জবাব আমরা দিতে পারি নি। জানিনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবার কোন দিন সেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা আড্ডা হবে কিনা হয়তো বলতেও পারবোনা। আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তারা কে কোথায় আছেন কেমন আছেন তাও জানা হবে না। আমাদেরকে ২৮ ডিসেম্বরে বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে। কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের সকলের দেখা হয় প্রতিনিয়ত শ্রেনীকক্ষে। আমরা এ দিনও যেতামনা কিন্তু অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা তাই সে দিন আমরা উপস্থিত হলেও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে আসেনি।

এ বিষয় দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০১ সালের প্রাক্তন ছাত্র মো: শরীফ হোসেন জানান, আমরা আনন্দিত ছিলাম যে অনুষ্ঠানের দিন আমাদের গুরুজন শিক্ষকদের দেখা মিলবে তাদের সাথে আনন্দঘন মূহুর্ত আড্ডায় মেতে উঠবো। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন কোন শিক্ষকদের দেখা না মেলায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। এক পর্যায় জানতে পারলাম প্রাক্তদের অনুষ্ঠানে তাদেরকে দাওয়াতি করা হয় নি। দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির উচিত ছিল মানুষ গড়ার কারিগর তাদেরকে অবশ্যই সম্মানিত করে অনুষ্ঠানে রাখা।