নিজস্ব প্রতিবেদক : মনেপ্রাণে জাতীয়তাবাদী আবদুল মজিদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা পরিচয়ে শহরের জিমখানা এলাকাজুরে দাপটের সাথে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি, প্রতি বছর পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হযরত সৈয়দ মোবারক শাহ (রা:) এর মাজার শরীফের নামে অবৈধ মেলা আয়োজন করা, মাজার শরীফের দানের টাকা আত্নসাত করা সহ নানা অপকর্মের মূল হোতা এই মজিদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শহরের জিমখানা হযরত সৈয়দ মোবারক শাহ (রা:) এর মাজার শরীফ এলঅকায় গিয়ে এমনই তথ্য জানা যায়।
হযরত সৈয়দ মোবারক শাহ (রা:) এর মাজার শরীফ এর সভাপতির দায়িত্বে আছেন এই মজিদ। বিগত সময়ে মাজার শরীফের দান বাক্স ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকা এবং গত বছর ৪০ হাজার টাকা নিজের দখলে নেয় এই মজিদ। অত্র মাজার শরীফের সাবেক খাদেম কবির এমনই তথ্য জানান।
কবির আরো জানায়, আমি দীর্ঘ প্রায় ২৯ বছর যাবত এই মাজারে খাদেম হিসেবে কাজ করে আসছিলাম। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আফরোজা হাসান বিভার ভাসুর মজিদ মিয়া গত বছর দানে বাক্স ভেঙ্গে ৪০ হাজার টাকা নেয়। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এর আগেও একবার ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় অত্র জিমখানা মাজারের সামনে বসা ভ্রাম্যমান দোকান গুলোর কাছ থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা তার নিযুক্ত কর্মচারী এমদাদ হোসেনর মাধ্যমে উঠিয়ে নেয়। এছাড়া প্রতি বছর আশুরা উপলক্ষে যে অবৈধ মেলা হয় সেখান থেকেও মোটা অংকের টাকা তুলে নেন এই মজিদ মিয়া। এই মেলাকে কেন্দ্র করে চলে জমজমাট জুয়ার আসর।
সূত্র থেকে আরও জানাযায়, নগরীর মণ্ডলপাড়া জিমখানা বটতলার স্ট্যান্ডটি মূলত সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার রাখার স্থান। এখানে সিএনজিচালিত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ির দেখা মেলে না। তবে সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার স্ট্যান্ডের নামে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ একটি ইজিবাইক স্ট্যান্ড। এই অবৈধ কাজের মূল হোতা স্ট্যান্ডের ইজারাদার আবদুল মজিদ। তাছাড়া এই মেলার কারনে রাস্তায় চলচলরত পথচারীদের চলাচলে বিগ্ন ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন জানান, মেলার এই বিষয়টি আমার নলেজে নাই তবে এ বিষয়ে কেঊ যোগাযোগ করলে জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি কর্পোরেশন এই বিষয়টি দেখার কথা।
প্রসঙ্গত,কাশিপুরের হোসাইনী নগর এলাকায় এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছে মিল্টন হোসেন ও পারভেজ আহমেদ নামে দুই যুবক। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাতে তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও মো. পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। মজিদ ও তার ছোট ভাই হাসান আহম্মেদের নির্দেশে মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।