সোম. নভে ১৮, ২০২৪

গাজীর লোক আমাকে মারার জন্য রূপগঞ্জ থেকে হাজার হাজার লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছিল -সেলিম প্রধান


নারায়
মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে সেলিম প্রধানের আত্মসমর্পণ। জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে তিনি জামিননামা দাখিল করেন।
সেলিম প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। যে জায়গার মালিক সে কি কোনদিন চাঁদাবাজি করতে পারে। গাজীর লোকজন যারা ছিলো তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে, আমাকে মারার জন্য পুরো রুপগঞ্জ থেকে হাজার হাজার লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছে। একদিনে কয়েক দফায় হামলা করেছে। আমার জমি আমি লিজ দেইনি, যে চুক্তিনামার কথা বলা হচ্ছে সেটা ভুয়া। ওরা চুক্তিনামা করেছে দুইটা, একটা একবছর অন্যটা দশ বছর। এটা কি হয় ? দেশের আইন অনুযায়ী চুক্তিনামা হয় তিন বছরের।
এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমি প্রতিনিয়ত লড়াই করেছি। অথচ বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে তার সবকিছুই হচ্ছে দিপু ভূইয়ার ইন্ধনে। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই, আপনারা রুপগঞ্জ যাবেন এবং সেখানে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন। শত শত কর্মী যারা পূর্বে গাজীর সাথে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে। তারা দিপু ভূইয়ার কর্মী হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে। দিপু ভূইয়া আমেরিকা গিয়েছে, কেনো? কারন পাপ্পা গাজী বর্তমানে সেখানে আছে। আপনারা দেখেছেন আমাদের বিএনপির অনেক লোকজন গত ১৫ বছর বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। এমন কোন লোক নেই যে কিনা মামলা খায়নি, জেলে যায় নি। অথচ দিপু ভূইয়া একবারও জেলে যায় নি।
চাঁদাবাজির যে মামলা করা হয়েছে সেখানে যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে (দুপুর ২ : ৩০ মিনিট) সে সময় আমি দেশ স্বাধীন হয়েছিলো আর আমি আনন্দ মিছিল করছিলাম গুলশানে। আমার ফোন ট্রাকিং করলেই সব জানতে পারবেন। অথচ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। রুপগঞ্জ সহ সারাদেশের মানুষ জানে জায়গা আমার। আমি জেলে ছিলাম জোরজবস্তি দখল করেছে। নিজের জমিতে কেউ চাঁদাবাজি করে আর যে চাঁদাবাজি করে সে কি রিসিট দেয়। তারা যে মামলা করেছে সেটা ভুয়া মামলা করেছে। মে মাসের ২৮/২৯ তারিখ আমার বাড়িতে হামলা করেছে। ঐ সময় মুজিবুর, বালু হাবিব, এমদাদ, হিরা এরা হলো বাহিনী। থানা কিন্তু মামলা নিতে চায় নি। কিছু আড়ৎদার জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কথা না শুনলে ওদেরকে দোকান থেকে বের করে দিবে। গাজী সবচাইতে বেশী ভয় পেত আমাকে। কারন সে জানে আমি থাকলে সে কোন চাঁদাবাজি বা অন্যকিছু করতে পারবেনা। এরা মনে করে প্রধান যদি রুপগঞ্জে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ শেষ৷ কারন আমি চাঁদাবাজি করতে দেই না, মাদক ব্যবসা করতে দিবোনা।
আইনজীবী আশরাফুল বারী ভূইয়া জানান, সেলিম প্রধান ও নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কথিত চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তারা হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সেই মামলায় ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। আজকে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানের আদালতে জামিননামা দাখিল করেছি। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন। যে চাঁদাবাজির মামলা করেছে তার কোন সত্যতা নেই।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *